হাইওয়েতে চুরি হচ্ছে পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম গার্মেন্টস শিল্প আজ হুমকির মুখে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে চুরি হয়ে যাচ্ছে রপ্তানিমুখী পণ্য। এতে করে যেমন ব্যবসায়ীর প্রতিশ্রুতি নষ্ট হচ্ছে তেমনি সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের।
পণ্য পরিবহনের কভার্ড ভ্যান এর একটি সিন্ডগেট করছে এইসব চুরি। এই সিন্ডিকেট ঢাকা থেকে মাল নিয়ে রওনা দেওয়ার পরে কুমিল্লার তাদের নির্ধারিত জায়গায় প্রথমে কভার্ডভ্যান নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে কভার্ড ভ্যান এর দরজা খুলে প্রত্যেকটি কার্টুন থেকে সরিয়ে রাখে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য। এবং কার্টুনটি কে আগের মতো প্যাক করে পাঠিয়ে দেয় চিটাগাং কাস্টমসে। মাল রীতিমতো শিপমেন্ট হয়ে যায়। এবার বায়ার এর হাতে পৌঁছানোর পরেই জানা যায় আসল রহস্য।
প্রত্যেকটি কার্টুন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান মাল গায়েব। একটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম থেকে অবস্থান ভেদে বায়ার এর কাছে পৌঁছাতে ৪৫ দিন থেকে ২ মাস সময় লাগে। যতদিনে গার্মেন্টস মালিকরা খোঁজ পায় তার আগেই মাল বিক্রি করে দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সিন্ডিকেট।
অনেক ক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেটের সাথে সিএন্ডএফ এজেন্ট জড়িত থাকে। তাই শিপমেন্টের আগে এই তথ্য কোনোভাবেই জানা যায় না। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে গার্মেন্টস মালিকরা।
আজ পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি দল দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানে মালিকের প্রতিনিধিরাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে দেখছেন, প্রত্যেক কাভার্ডভ্যান মালিক কে তার গাড়ির সাথে জিপিএস ট্র্যাকার বসাতে হবে, যাতে করে গার্মেন্টস মালিক ও পরিবহণ মালিক তার গাড়ির অবস্থান সম্পর্কে অবহিত থাকে। এ ব্যাপারে পুলিশ গুরুত্বের সাথে সহযোগিতা করবে,।
এছাড়া ২৫২ কিলোমিটার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই মাসের মধ্যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ট্রাকিং ডিভাইস ছাড়া কোন গাড়ি হাইওয়েতে চলতে দেয়া হবে না, এসব নিয়ম চালু করলে আশা করছি খুব দ্রুতই এই চুরি রাহাজানি বন্ধ হয়ে যাবে।
নিউজরুম বিডি২৪।