৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ক্যাপ্টেন কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের সৌখিন খামারি মাসুদ রানা।
করোনার কারণে জয়পুরহাটের সৌখিন খামারি মাসুদ রানা তার ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ক্যাপ্টেন কে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শেষ সীমানার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাসুদ রানা গত দু’বছর আগে শখের বশে মাএ ৮৬ হাজার টাকায় একটি হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুর কিনেছিলেন। সেটিকে কমলা, মাল্টা,আপেল সহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল,ঘাস, মাড় ও ভূষি খাইয়ে মোটাতাজা করেন।
গতবছর স্থানীয় কসাইরা সাড়ে ৯ লাখ টাকা দাম করলেও দাঁত না ওঠায় ক্যাপ্টেনকে বিক্রি করতে পারেনি তিনি। বর্তমানে ক্যাপ্টেনের ওজন ৪০ মণ দাম চাওয়া হচ্চে ২২ লক্ষ। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। ক্যাপ্টেন কে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দলে দলে প্রতিদিনই লোকজন ভিড় করছেন। দানব আকৃতির এই ষাঁড়টি কিভাবে বিক্রি করবেন তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন মালিক ও তার আত্মীয়-স্বজন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান জানিয়েছেন, আসন্ন কোরবানিতে বিক্রির জন্য অনলাইনে উপজেলা ভিত্তিক পেইজ খুলে গরুর ছবি এবং বিস্তারিত দিয়ে মালিকের নাম, মোবাইল নাম্বার,ঠিকানা সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান করোনা মহামারীর কারণে এবার অনলাইনে গরু বিক্রির সম্পূর্ণ ব্যবস্থা জেলা পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।
গরুগুলোর ছবি ওজন এবং বিস্তারিত দিয়ে অনলাইনে বিক্রির সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক লাখ ২০ হাজার থাকলেও মজুদ রয়েছে প্রায় দেড় লাখ।
নিউজরুম বিডি২৪.