ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর এবার করোনার নতুন আতঙ্ক ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমণ নিয়ে গবেষণায় এখন পর্যন্ত ১১ টি ভ্যারিয়েন্ট এর অস্তিত্ব পেয়েছে। সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ভারত, যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বে নাজেহাল অবস্থা। এরই মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমণে দায়ী নতুন ভ্যারিয়েন্ট ল্যাম্বডা সম্পর্কে সচেতন করেছেন। গত সপ্তাহে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, ল্যাম্বডা ধরনে সাতটি বিরল স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশন ঘটে, ফলে ডেল্টা বা অন্য যেকোন ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়াতে পারে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টটি।
গত বছর ডিসেম্বরে পেরুতে সর্বপ্রথম এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ৩০ টি দেশে ভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পেরুতে প্রথম শনাক্ত হলেও দক্ষিণ আমেরিকা ,যুক্তরাজ্য জার্মানি সহ বিশ্বের প্রায় ৩০ টি দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে ভ্যারিয়েন্টটি।
এদিকে ল্যাম্বডা কতটা সংক্রামক এবং প্রাণঘাতি তা নিয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্টস দল। ল্যাম্বডা মোকাবেলায় টিকার কার্যকারিতা নিয়েও চলছে গবেষণা।
ল্যাম্বডা ভেরিয়েন্ট ইউরোপে দেখা দেয় যখন পুরো ইউরোপ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এমন অবস্থায় ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট এর প্রাদুর্ভাব করোনায় প্রাণহানি এবং সংক্রমণে কি প্রভাব ফেলবে গবেষণার ফলাফলের অপেক্ষায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার লক্ষে। কিন্তু চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ১০.৪ % লোকের টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে যা মাএ ০.৯%।