প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্স বাতিল,ই-কমার্স। । – Newsroom bd24.
ঢাকামঙ্গলবার , ৬ জুলাই ২০২১

প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্স বাতিল,ই-কমার্স। ।

মামুন অর রশিদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
জুলাই ৬, ২০২১ ৪:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ই-কমার্সে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাতিল হবে লাইসেন্স।

ক্রমশ বর্ধমান ই-কমার্স সেক্টরকে সুশৃংখলভাবে সাজাতে বহুল প্রতীক্ষিত ই-কমার্স খাত পরিচালন নির্দেশিকা ২০২১ (এসওপি) – এর গ্যাজেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ গ্যাজেট চূড়ান্ত করা হয়।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবুল কুমার সাহা, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ আলম তমাল ও বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।

 

ই-কমার্স বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বর্ধনশীল খাত। বৈশ্বিক করোনাকালীন পরিস্থিতি এবং মন্দার মধ্যেও দেশকে আশার আলো দেখিয়েছে এই সেক্টরটি। কিন্তু কিছু অসাধু বিক্রেতা এই সুনাম নষ্ট করছে। অস্বাভাবিক অফারের প্রলোভন দেখিয়ে ক্রেতাদের প্রতারণা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম মূল্য নিয়েও দিচ্ছেনা পণ্য। এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা ই-কমার্স পরিচালন নির্দেশিকা ২০২১ এর গেজেট চূড়ান্ত করেছে।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ঘোষিত নির্দেশিকার আলোকে প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করলে বিকাশমান ই-কমার্স খাতকে টেকসই ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে। কেবলমাত্র একটি নির্দেশিকা চূড়ান্ত হলেও সময়ের প্রয়োজনে এতে আরও নীতিমালা সংযোজন করা হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যহীন কোন অস্বাভাবিক অফার মূল্য দেয়া যাবে না। কোন বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে । এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেতাকে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। গ্রাহক নিজ শহরে থাকলে ৫ দিন এবং নিজ শহরের বাহিরে হলে সর্বোচ্চ ১০ দিন সময় নেয়া যাবে।তবে বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে ওই পণ্য ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া অগ্রিম অর্থ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংক বা এধরনের বৈধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাছে জমা থাকবে। ক্রেতা পণ্য হাতে পাওয়ার পর সেই অর্থ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কাছে জমা হবে। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ই-কমার্স ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নীতিমালার অংশহিসেবে এ আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

এই নির্দেশনায় ই-কমার্সে গ্রাহক যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হন সে বিষয়টি লক্ষ্য করা হলেও। বিক্রেতাদের বিষয়টি নজরে আসেনি। এ বিষয়ে নজরদারি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারা।

 

 নিউজরুম বিডি২৪।