অক্সিজেনের তীব্র সংকট হতে পারে, এই নিয়ে শঙ্কা। – Newsroom bd24.
ঢাকামঙ্গলবার , ৬ জুলাই ২০২১

অক্সিজেনের তীব্র সংকট হতে পারে, এই নিয়ে শঙ্কা।

ফয়সাল আহমেদ। (নিজস্ব প্রতিবেদক)
জুলাই ৬, ২০২১ ৫:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

সামনে অক্সিজেনের তীব্র সংকটের শঙ্কা।

জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন জেনারেটর কেনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

সারা দেশে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির পরামর্শ টেকনিক্যাল কমিটি প্রধানের।

দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এর প্রকোপ রুখতে জনজীবন স্থবির করা কঠোর লকডাউনের মধ্যেই এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আর মৃত্যুতে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড দেখতে হল বাংলাদেশকে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৯৬৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৬৪ জনের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসের কারণে। যা দেশে মহামারিকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।

বর্তমানে করোনা সংক্রমণ প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। আর সংক্রমিতদের অর্ধেকই গ্রামাঞ্চলের। জেলা-উপজেলায় ইতিমধ্যে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেতে রাজধানীতে ছুটছেন। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত খাকলে সামনে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। প্রয়োজন মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।

 

 

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার দুটি উপায়ের একটি হলো লকডাউন, অন্যটি ভ্যাকসিন। রাজধানীসহ শহর এলাকার মানুষ সচেতন হওয়ায় চলমান লকডাউনের সুফল পাওয়া গেছে। তবে গ্রামের মানুষ সচেতন নয়। তারা মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মানে না, মোড়ে মোড়ে আড্ডার সমাগম চলে। গ্রামের হাট-বাজারেও জনসমাগম প্রচুর। এ কারণে বর্তমানে গ্রামের মানুষ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে করোনা শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৭০ ভাগ। এছাড়া গ্রামের মানুষ করোনার উপসর্গ হলে সাথে সাথে চিকিত্সা সেবা নেন না। দেরিতে এমন সময় হাসপাতালে যান, তখন তার অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। আর গ্রামাঞ্চলে রয়েছে অক্সিজেনের সংকট। চিকিৎসা সেবাও তেমন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কমিউনিটিতে ছড়িয়ে গেছে। সংক্রমণ গ্রামের লোকজনের মধ্যে বেশি হচ্ছে। আমাদের কাছে যে হিসাব আছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি লোক গ্রাম থেকে আসছে। আবার অনেকেই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন। পরীক্ষা করাচ্ছেন না, বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না। পরে রোগের তীব্রতা বাড়লে হাসপাতালে যাচ্ছেন।

করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, আমরা করোনা মোকাবেলা করতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে দুই সপ্তাহ লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সরকার প্রথমে এক সপ্তাহ দিয়েছে, পরবর্তীতে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে হয়তো সংক্রমণ কিছুটা কমে যাবে। তবে এটা নির্ভর করছে সামনে গরুর হাট ও ঈদ উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর। তিনি বলেন, গ্রামে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কারণ গ্রামের মানুষ সচেতন নয়। মাস্ক পরে না, মোড়ে মোড়ে সমাগম করে। গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সারাদেশে ফিল্ড হাসপাতাল করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গ্রামের স্কুল-কলেজে এই হাসপাতাল তৈরি করা যায়।

 

 

বাংলাদেশ সোসাইটি অব এনেসথেসিওলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক বলেন, যেহেতু সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাই সামনে অক্সিজেনের সংকট দেখা দেবে। ৭০ লিটার অক্সিজেন ১৫ থেকে ২০ জন সাধারণ রোগীকে দেওয়া যায়। কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এক জনের জন্য প্রতি মিনিটে ৭০ লিটার অক্সিজেন লাগে। হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দিয়ে এই অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তবে সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা নেই। গ্রামে করোনা রোগী বেশি। সেখানে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা বেশি প্রয়োজন।

ওয়ার্ড পর্যায়ে হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা পর্যায়ে হেলথ কমপ্লেক্স থাকলেও সেখানে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা নেই। অনেক জেলা সদর হাসপাতালেও নেই। এই অবস্থায় যেভাবে রোগী বাড়ছে, তাতে সামনে অক্সিজেনের সংকট দেখা দেবে। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।

অক্সিজেন জেনারেটর দিয়ে বাতাসের সাহায্যে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। প্রতিটি অক্সিজেন জেনারেটর মেশিন দিয়ে একসঙ্গে ১০০ জন রোগীকে ২৪ ঘণ্টা উচ্চ প্রবাহের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব।অক্সিজেন জেনারেটর চারপাশের বায়ুমন্ডল থেকে বাতাস টেনে, সংকুচিত করে, শুদ্ধ করে এবং নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য অপ্রয়জনীয় গ্যাস দূর করে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ু তৈরি করে, এটি পরিশোধিত, অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ু তখন রোগীর কাছে সরবরাহ করা হয়

 

অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেনের সংকট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রামে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ স্কুল-কলেজগুলোতে ফিল্ড হাসপাতাল করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বেকার ৪০ হাজার ডাক্তার ও সমসংখ্যক নার্সদের নিয়োগ দিয়ে এই ফিল্ড হাপসাতালে পদায়ন করতে হবে। বাসায় চিকিৎসা না নিয়ে ফিল্ড হাসপাতালে একজন চিকিত্সক ও নার্সের অধীনে অক্সিজেন নেওয়াই উত্তম। কারণ অক্সিজেনের লেভেলের বিষয়টি নার্সরা বুঝবেন। একই সঙ্গে তিনি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গণহারে টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেন।

 

 

অক্সিজেনের যোগান ও চাহিদাঃ
বাংলাদেশে দিনে অক্সিজেন উৎপাদন ৪০০ টন, হাসপাতালে চাহিদা ১৫০ টন প্রতিদিন ১০০-১২০ টনের মতো অক্সিজেনের দরকার হয়। কিন্তু মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ার পর সেই চাহিদা দৈনিক ৩০০ টন পর্যন্ত উঠেছিল। … এই চাহিদার একটি অংশ দেশেই উৎপাদিত হয়, বাকিটা প্রধানত ভারত থেকে আমদানি হয়।

অক্সিজেন সাধারণ দুই ধরনের তরলীকৃত ও গ্যাসীয়। তরলীকৃত অক্সিজেন থেকে পরিবর্তন করে আমরা গ্যাসীয় অক্সিজেন ফরমে চলে আসব। গ্যাসীয় অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই আমাদের। গ্যাসীয় অক্সিজেনকে মেডিকেলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনে রূপান্তরিত করে সরবরাহ করা যাবে।

অক্সিজেনের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে বেশির ভাগ সরবরাহকারী ইতিমধ্যে শিল্প কারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। উৎপাদিত অক্সিজেনের সবটুকুই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোতে দিয়ে দিচ্ছে তারা। হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন স্ট্রেইনগুলো অতি মাত্রায় সংক্রামক হওয়ায় রোগীদের ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।

অনেকেরই তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে বেশি সংখ্যক রোগীকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের হাসপাতালগুলোতে এখন দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১৮০ টন। এর মধ্যে বহুজাতিক অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিন্ডে বাংলাদেশ’ উৎপাদন ও সরবরাহ করছে ৯০ টন। স্পেক্ট্রা নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক গড়ে সরবরাহ করছে ২৪ দশমিক ৫ টন এবং ইসলাম অক্সিজেন সরবরাহ করে ৪০ টন। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে তারা ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করে।

তবে ভারত ২২ এপ্রিল থেকে অক্সিজেন রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিলের আগে এক সপ্তাহে ৪৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ) ও মুখপাত্র সাইকা মাজেদ বলেন, চাহিদা তো আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গত ছয় সপ্তাহে চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর গত এক বছরে যদি বলি সেটা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। এই চাহিদা মেটাতে আমরা এখন শিল্পজাত অক্সিজেনের চেয়ে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি আরও জানান, আমরা মূলত তরল অক্সিজেনকেই বেশি অগ্রাধিকার দিই।

আইসিইউতে এ ধরনের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন সরকারি হাসপাতাল ও বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের কাছে যে চাহিদা দিচ্ছে, এখন পর্যন্ত সেটা দিতে পারছি। এই মুহূর্তে যেহেতু তাদের চাহিদা একটু বেশি, আমরা শিল্প কারখানার অক্সিজেন বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে দিচ্ছি।

সাইকা মাজেদ বলেন, এখন পর্যন্ত চলছে, কিন্তু ভারতের মতো যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে আমাদের দুটি অক্সিজেন প্লান্ট আছে। এগুলো থেকে প্রতিদিন ৯০ টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। আগে মেডিকেল ও শিল্পজাত অক্সিজেনের অনুপাত ছিল প্রায় ৬০:৪০। শিল্পজাত অক্সিজেনের চাহিদা আগের মতো থাকলেও মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ফলে অনুপাত হয়ে গেছে ৮০:২০।

এ ছাড়া চট্টগ্রামভিত্তিক অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, যারা এতদিন কেবল শিল্পকারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ করেছে, এখন তারা স্বাস্থ্যসেবা খাতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে চায়। অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের উপদেষ্টা সোহরাব হোসেন বলেন, চট্টগ্রামভিত্তিক আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত শিল্পগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। তবে এখন আমরা চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করছি। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে।

এ কারণে এখন আমরা হাসপাতালে তরল অক্সিজেন সরবরাহের চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে আমরা কারখানা ও পরিবহন ব্যবস্থার কিছু সরঞ্জাম সংযোজনে কাজ করছি। ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আগের তুলনায় অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে অনেক গুণ। সব সময় সিরিয়াল লেগে আছে। কারণ ৯ দশমিক ৮ কিউবিক মিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটা সিলিন্ডার স্কেলিং করতে ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে। আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা দিনে সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ৮৮০ কিউবিক মিটার অক্সিজেন রিফিল করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় ২০ দিন আগে থেকেই ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড শিল্পজাত অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এখানে পুরোটাই এখন মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন চলছে। অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর তিনটি নতুন উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব উৎস থেকে পাওয়া যাবে মোট ৭৫ টন অক্সিজেন। তবে বর্তমানে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৩৫ টন অক্সিজেন দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লি. দৈনিক ৭ টন, ইসলাম অক্সিজেন ২০ টন এবং এ কে অক্সিজেন লি. ৮ টন সরবরাহ করতে পারছে।

 

নিউজরুম বিডি২৪