একজন সেলিব্রেটির অভিনয়ের কারণে আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি: নাছির।
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরিমনির সাথে বোট ক্লাব এর ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন নাসির ইউ আহমেদ।
তিনি বলেন একজন অভিনেত্রী তো চোখে গ্লিসারিন দিয়েও কাঁদতে পারেন। তার এই অভিনয় আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি।
তিনি বলেন, ঘটনার পাঁচদিন পর ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করলেন পরিমনি। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে উন্মুক্ত চিঠি লিখলেন। এসবের মানে হয়না আপনারা সবাই দেখেছেন, পরিমনি যখন থানায় যায় তখন সে মাতাল অবস্থায় ছিলো।তাই বনানী থানা থেকে তাকে সুস্থ হয়ে পুনরায় আসার জন্য অনুরোধ করেছিল।
আর, বোট ক্লাব এর এরিয়ার পাশে সাভার থানা এবং রূপনগর থানা ছিল এরকম ঘটনা যদি ঘটত, তাহলে সে সাভার থানা অথবা রূপনগর থানায় অভিযোগ করতে পারত।
পরিমনি আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে, আবার সে নিজেই বলেছে তার সাথে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না । তাই তার সাথে আমার কোন শত্রুতা ও ছিল না।
নাসির আহমেদ বলেন, সেদিন রাতে মূলত সে অতিরিক্ত মাতাল অবস্থায় ছিল মাতাল অবস্থায় সে ব্লু লেভেল হুইস্কি র ফুল একটি বোতল রেক থেকে নিজ হাতে নিয়ে নেয়।
তাই, আমাদের ক্লাবের ডিউটিরত স্টাফ তাকে এই বোতলের মূল্য এবং এটি ক্লাবের সদস্য ছাড়া দেয়া সম্ভব নয় বললে সে তাদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলে এবং প্লেট গ্লাস তাদের দিকে ছুড়ে মারেন।
আমি সেদিন ওই ক্লাবে ডিসিপ্লিনের দায়িত্বে ছিলাম তাই আমি এগিয়ে আসি। আমি এগিয়ে আসার পরও সে আমার দিকে গ্লাস ছুড়ে মারে এবং গ্লাসটি আমার ঘারে লাগে। তার সাথে আসা তার বন্ধু জিমি আমাকে ঘুসি মারে।
এ অবস্থায় আমাদের ক্লাবের আরেক সদস্য শাহ আলম, জিমিকে আটকায় এবং জিমির সাথে শাহ আলমের হাতাহাতি বাধে। পরবর্তীতে পরিমনির চলে যায়।
পরিমনির যাওয়ার সময় দুই বোতল ওয়াইন নিয়ে যায় এবং পরের দিন ২ বোতলের দাম ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে।
আমি চাই সত্য সবার সামনে উন্মোচিত হোক, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
একজন অভিনেত্রীর অভিনয়ের কারণে আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আশা করি সত্যি বিষয়টা সবাই অনুধাবন করতে পারবে।