

সংগৃহীত
“কোরবানির পশু এবার ডিজিটাল হাটে”।
প্রতিবছর এই কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসে। যেখান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান রা তাদের পশু ক্রয় করে থাকেন। এবছর কুরবানীতে ডিএনসিসি গতানুগতিক হাট ব্যবস্থা থেকে সরে এসে ডিজিটাল হাটের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। যদিও গত বছর কুরবানিতে ও ডিজিটাল হাট ব্যবস্থা চালু ছিল।
গত বছর কুরবানিতে ডিজিটাল হাট ব্যবস্থায় ২৭ হাজার পশু কেনাবেচা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, গতবছর ২৭ হাজার পশু কেনাবেচা হলেও এবার আমাদের টার্গেট এক লাখ’ পশু কেনাবেচা করা, তাতে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ হাটে যাবে না।
এতে করোনা সংক্রমনের হার অনেকাংশে কমানো যাবে। শুধু তাই না এবার ১০০০ গরুকে আমাদের নিজস্ব কসাইখানায় জবাই দেয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। কেউ চাইলে ডিজিটাল হাটে গরু কিনে আমাদের কসাইখানায় গরু জবাই করে প্রসেস করে মাংস নিয়ে যেতে পারবেন বাসায়।
এতে করে গরু কেনা এবং জবাইয়ের ঝামেলা থেকে রক্ষা পাবে নগরবাসী। এই সুবিধা শুধু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উত্তরের বাসিন্দারাই নয় চাইলে দক্ষিণের বাসিন্দা এবং সাভার গাজীপুরের জনগণরে নিতে পারবেন।
রোববার ৪ জুলাই দুপুর ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুরহাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভার্চুয়াল এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন এই ডিজিটাল হাট একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার, এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে কেউ চাইলেই অসুুস্থ গরু দিয়ে দিতে পারে সে ক্ষেত্রে ক্রেতার ঠকার সম্ভাবনা বেশী তাই এ ব্যাপারে আমরা একটা পদ্ধতি অবলম্বন করেছি যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ ই না ঠকে। ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে এক্ষেত্রে ক্রো পদ্ধতি ব্যবহার করবে। । এই পদ্ধতিতে বিক্রেতা সরাসরি টাকা পাবে না এই টাকায় একটি ব্যাংকের একাউন্টে যাবে ক্রেতা যখন তার অর্ডারকৃত গরুটি পাবেন বলে নিশ্চিত করবেন তখনই এই টাকা ছাড় করা হবে। তাই পশু কেনার পরে কোন প্রকার ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নিউজরুম বিডি২৪.