একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বর্ষণের ফলে চলতি সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বর্ষার শুরুতেই এবার টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দেশের কয়েকটি অঞ্চলে চলছে ভারী বর্ষণ। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশের কয়েকটি এলাকায়। এরই মাঝে, ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত তিন দিন যাবত বাড়ছে।
যার ফলে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা। উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বর্ষণের ফলে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমলেও, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বেড়ে বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের সবকটি পয়েন্টে দ্রুত পানি বাড়ছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান এর ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে পানি বৃদ্ধি ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাউসার পারভীন এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে ভারী বর্ষণের সৃষ্টি হয়েছে। যা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বর্ষণ এবং জোয়ারের পানিতে নগরীর চকবাজার, কমার্স কলেজ রোড, হালিশহর এবং আশপাশের এলাকায় পানি জমে যায়। নিম্নাঞ্চল হাওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানির উঠে তলিয়ে যায় এসব এলাকা। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে।