পন্য ডেলিভারি দিতে হবে ৫ দিনে - ই কমার্স। – Newsroom bd24.
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ জুলাই ২০২১

পন্য ডেলিভারি দিতে হবে ৫ দিনে – ই কমার্স।

নিউজরুম বিডি২৪
জুলাই ১, ২০২১ ১:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে পাঁচ দিনে: ই-কমার্স।

ক্রেতাদের স্বার্থে ই-কমার্স এর উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পণ্যমূল্য অগ্রিম নেয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দিতে হবে।

এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বুধবার ৩০শে জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা’২০২১ এর চূড়ান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী ই-কর্মাসে অগ্রিম পণ্যমূল্য নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তবে ক্রেতা ভিন্ন জেলায় অবস্থান করলে মূল্য পরিশোধের দশ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, এই নির্দেশিকা দ্রুত বর্ধনশীল খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।পাশাপাশি প্রতারণা বন্ধ হবে। মূলত, ই-কমার্স ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা’ ২০২১প্রণয়ন করা হয়েছে।

এছাড়াও ই-কমার্স সেক্টরে নতুন কিছু সংযোজন আসছে যাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক ডাব্লিউটিও সেল) হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশের ই-কমার্সগুলোর বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যকার পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ই-কর্মাস মার্চেন্টকে যে অগ্রীম পেমেন্ট দেওয়া হবে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে। শুধুমাত্র গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর, এই টাকা মার্চেন্ট প্ল্যাটফর্মকে দেওয়া হবে।

পেমেন্ট সিস্টেম কন্ট্রোল করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা যদি অনলাইনে কার্ড বা বিকাশ – নগদ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকেন তাহলে পেমেন্ট কন্ট্রোল করা যাবে। এর বাইরে ভিন্ন পন্থায় যদি তারা এডভান্স দিয়ে দেয় তাহলে কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে ই-কমার্স এ ক্রেতাদের ও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

যারা অস্বাভাবিক অফার দেয় তারা সন্দেহজনক আচরণ করতে পারে। মূলত ই-কমার্স ক্ষেত্রে প্রতারণা বন্ধের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন ই-কমার্স খাতকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিয়েছে।