বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো ৭ দিনের কঠোর লকডাউন।
ভোর থেকে সড়কে নেই অন্য দিনের মতো ব্যস্ততা, নেই জনমানবের চলাচল। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন ও দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে রয়েছে বিধি নিষেধ।
মানুষ যাতে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যান তা নিশ্চিত করতে মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পথে-পথে চেকপোস্ট বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে চলাচল। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিধিনিষেধ কার্যকরের রাজশাহী বিভাগে সেনাবাহিনীর দুটি করে টিম এবং ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। জনসাধারণ যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যান তা নিশ্চিত করেছেন তারা।
খুলনায় গত ২২ শে জুন থেকে চলছে লকডাউন, নতুন বিধিনিষেধে তা আরও কঠোর হয়েছে। সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র কাঁচাবাজার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত খোলা রয়েছে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। প্রবেশপথ এবং চেকপোস্ট গুলোতে অবস্থান নিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন জনস্বার্থেই এবারকার লকডাউন আমাদেরকে কঠোর ভাবে পালন করতে হবে। লকডাউন কার্যকর করতে কেউ যদি বাধা নিষেধ অমান্য করে সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে তাকে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
শিমুলিয়া বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ফেরি ঘাট কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায়। জরুরী সেবা দানকারী ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোন গাড়ি ফেরিতে চলাচল করছে না।
রংপুরের লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে দেখা যায় জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। চলছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।
মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট( জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রংপুর) নিউজরুম বিডি২৪ কে, জানান কেউ যদি অমান্য আইন অমান্য করে সে ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্হা নেবে প্রশাসন।
বরিশাল গাজীপুর ও অনান্য নগরীতে কঠোর
লকডাউন পালন করা হচ্ছে। তবে শিল্প কারখানা খোলা থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে কারখানায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।