লকডাউনের ক্রান্তিকাল
লকডাউন? হ্যাঁ লকডাউন।
চলমান জীবনযাত্রা আর ব্যস্ততম নগরী হঠাৎ করেই থমকে গেল। যানজটের কালো ধোঁয়া, গাড়ির হুইসেল, ফুটপাতে হকারদের জীবিকার তাগিদে ক্রেতাদের আকর্ষণ এ হাকডাক আর ব্যস্ত পথিকের ছোটাছুটি স্থবির হয়ে গেল এক নির্বাহী আদেশে।
লক্ষ্য কিন্তু একটাই শুধুমাত্র বেঁচে থাকা।
ব্যস্ততম এই নগরীর প্রতিটি মানুষ এ এক চরম নেশায় আসক্ত, কারো নেশা কাড়ি কাড়ি অর্থ হাত -বে হাতে উপার্জন আর কারো বা দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তায় উদভ্রান্তের নেয় কংক্রিটের এই নগরীতে ছুটে চলা।
মুখ বুজে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবার যেন চরম বিপর্যয়ের মুখে। কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে আর নিজেকে মানিয়ে নিয়ে জীবনযাত্রা চালিয়ে নিতে নিত্তে আজ ক্লান্ত।
কখনো বা উদভ্রান্তের মত ছলছল চোখে লকডাউনের এ শহরে জানালার গ্রিল ধরে সুবিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলাই একমাত্র ভরসা।
জানিনা কবে আবার ফিরে পাবে ব্যস্ততম নগরী তার আসল স্বরূপ, ফিরে পাবে প্রাণচঞ্চলতা, মানুষের কর্ম পরিধি, নিশ্চয়তা আর সম্ভাবনা যোগ হবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।
চলমান এ বাস্তব নগরী আজ যেন শূন্যতার আর নীরবতার শহর। বাহ্যিকভাবে প্রশান্তি দৃশ্যমান হলেও মনের ভেতর অশান্তি আর উৎকণ্ঠায় কাঁদছে নগরী।
অজানা শংকা ছড়িয়ে আছে প্রতিটি পরিবারে, ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করে আর মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য ও ভরসা রেখে পাড়ি দিচ্ছে এ কঠিন সময়।
সময় এসেছে আমাদের আরো সতর্ক হবার। নিজের প্রয়োজনে, পরিবারের প্রয়োজনে আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
চোখ মেলে তাকিয়ে আছি সেই দিনটির প্রতীক্ষায় যেদিন থাকবে না আর কোন শঙ্কা থাকবে না করোনা নামক নিষ্ঠুরতা, আমরা আবার নতুন করে বাঁচবো নতুন করে সাজবে নগরী, সূচনা ঘটবে নতুন চেতনার।