এস্ট্রোজেনেকার এক ডোজ নেওয়ার পর ফাইজারের আরেক ডোজ নিলে করোনা মোকাবেলায় বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলে, এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
দুই টিকার মিশ্রণ শরীরে এন্টি বডি এবং টি-সেলের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডোজের ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ অর্থাৎ ৩১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি শরীরের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দ্বিতীয় ডোজটি প্রথম ডোজের ছয় মাস পরে নিলেও কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এস্ট্রোজেনকার প্রথম ডোজ নেওয়ায় ছয় সপ্তাহ পরে ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ নিলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এমন তথ্যই উঠে এসেছে আরেকটি গবেষণায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, একই টিকার দুইটি ডোজ এর বদলে এস্ট্রোজেনেকা এবং ফাইজারের টিকার এক এক করে দুইটি টিকা নিলে করোনা মোকাবেলায় শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে এই সুরক্ষা বলয় অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি কাজ করে। রক্ত জমাট বাঁধা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়ায় ইউরোপের অনেক দেশে এস্ট্রোজেনেকার একাটি ডোজ দেওয়ার পর টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অন্য করোনা টিকা প্রয়োগ করা হয়। এসকল রোগীদের শরীরে অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে গেলে দেখা যায় তাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তিশালী।