নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও পুলিশ সুপারসহ ১২জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা যুব দলের সভাপতি মনজুরুল আলম সুমন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন। রোববার শুনানি শেষে জলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া মামলাটি আমলে নিয়ে জেলার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
বিভিন্ন ধারায় ছয়টি মিথ্যা মামলা দিয়ে নোয়াখালী জেলা যুব দলের সভাপতি মনজুরুল আলম সুমনসহ ১০জন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কয়েক দফায় নির্যাতন ও রিমান্ডে এনে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে কোটি টাকা আদায় করার পর কয়েক ধারায় অভিযুক্ত করে আসামি করার অভিযোগ আনা হয়েছে এতে।
আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি সাইফুল ইসলাম ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম, তৎকালীন জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন, চৌমুহনী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল হোসেন, বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন ও মোস্তাক আহমেদ এবং সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। এছাড়া ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনী বাজারে উশৃঙ্খল উগ্রবাদী লোকজন হিন্দুদের আশ্রম ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও তিনজনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিজিটাল, বিশেষ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন আইনে ৬টি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আলম সুমনকে ১নং ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী বরকত উল্লা বুলুকে ২নং আসামি করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এসব মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আলম সুমনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি করিয়ে কোটি টাকা আদায় করেন সাবেক পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম।