দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিচার-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দেশটিতে ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের ওপর এই প্রথম এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
অভিবাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য ডং-এ ইলবো পত্রিকা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থানীয় সময় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতিবিরোধী পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, তিনি ইউন সুক ইওলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সন্দেহভাজন বিদ্রোহের ঘটনায় প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড তদন্ত করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা যায়।
গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইউন সুক ইওল ‘উত্তর কোরিয়াপন্থী উপাদান’ এবং সংসদীয় বিরোধীদের কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট নির্বাহী শাখার পক্ষাঘাতের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করেছিলেন। আকস্মিক এমন ঘোষণার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।
সামরিক আইনের ভিত্তি নেই বলেই প্রেসিডেন্ট সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন- এই অভিযোগ তুলে ৪ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করে বিরোধীরা।
গত ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ক্ষমতাসীন দল ভোট বর্জন করায় অভিশংসনের ঘোষণা আসেনি।
ভোটের আগে ইউন সুক ইওল তার সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেছিলেন, তার মেয়াদের বিষয়টিসহ রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারের কাছে ন্যস্ত করেছেন।