প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে কত কিছুই না আবিষ্কার হয়। প্রাচীন গ্রিস কিংবা রোমের কথা এলেই চলে আসে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনের আবিষ্কার। অনেক আবিষ্কারে চোখ কপালে উঠাতে বাধ্য হতে হয়। এমন এক ঘটনা ঘটেছে তুরস্কে।
দেশটির এক দল প্রত্নতাত্ত্বিক জানিয়েছেন, হাসানকিফের প্রাচীন শহরে খননের সময় ১৬০০ বছরের পুরোনো রোমান সামরিক কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। যা ওই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে৷
মারদিন প্রদেশের আর্তুকলু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প ইতিহাসবিদ জেকাই এরডালের নেতৃত্বে এই প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান দলটি এটি উদঘাটন করেছে। এই রোমান সামরিক কাঠামোকে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম বসতির একটি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এই অনুসন্ধানে এর পূর্বে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতা, অ্যাসিরিয়ান সভ্যতা, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, অটোমান সাম্রাজ্য এবং রিপাবলিকানযুগসহ বিভিন্ন সময়ের সাংস্কৃতিক নিদর্শন আবিষ্কার উঠে আসে। এবার সেখানে যোগ হল রোমান সাম্রাজ্যের নিদর্শন।
এই বছরের অনুসন্ধানটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি হাসানকিফের একটি দেরী রোমান সামরিক কাঠামোর উল্লেখ করে ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলি নিশ্চিত করে, যা এখন পর্যন্ত শারীরিকভাবে অবস্থিত ছিল না।
অনুসন্ধানে নেতৃত্বদানকারী এরডাল আনাদোলুকে বলেন, ‘হাসানকিফের ওই এলাকায় ঐতিহাসিক সূত্রে পূর্ববর্তী গবেষণায় কোন চিহ্ন ছিল না। আর সেখানেই আবিষ্কার হল রোমান সামরিক কাঠামো এবং দুর্গ’।
তিনি বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শতাব্দীর একটি কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছি, যা (রোমান সম্রাট) দ্বিতীয় কনস্টানটাইনের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।’
রোমান সাম্রাজ্য এই সময়ে আধুনিক পৃথিবীর বিস্ময়। ইউরোপ, আফ্রিকা ছাপিয়ে একসময় যার বিস্তৃতি ছিল এশিয়া পর্যন্ত। এই সাম্রাজ্যের স্থানিক সীমা ইতালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দু’শ বছর পর থেকে রোম সাম্রাজ্যের সীমানা ইতালির বাইরেও প্রসারিত হতে থাকে।